বৃটিশ শাসন আমলে প্রেসিডেন্ট বিভাগের চবিবশ পরগনা জেলার ভালুকা পরগনাভূক্ত আশাশুনি উপজেলাটি ছিল বন্যভূমি। সমগ্র এলাকাকাটি সুন্দরবনের অন্তর্ভূক্ত থাকায় বন্য হিংস্র জনও ব্যতিত কোন জনমানবের বাস এ এলাকাটিতে ছিল না।এ জঙ্গল এলাকা আবাদ হওয়ার ফলে এলাকার সৃষ্টি হয়। জনশ্রুতি হতে জানা যায় যে, সর্বপ্রথম এ মহলে আব্দুস সোবহান নামে একজন কামেল ফকির কয়েকজন শিষ্যসহ আশাশুনি মৌজার (তৎকালীন সুন্দববন) ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে জঙ্গলের মধ্যে দুটি বৃহৎ বৃক্ষ দেখতে পান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বৃক্ষটির তলায় তিনি তাঁর ব্যবহ্নত হাতের আশা(লাঠি)টি মাটিতে গাড়েন এবং আস্থানা ঠিক করেন। তখনকার দিনে যে সমসত কাঠুরিয়া মৌয়ালী ও বাওয়ালীরা জঙ্গলে আসত। তারা বন্য হিংস্র জনওর ভয়ে উক্ত ফকিরের নিকট দোয়া প্রার্থনা করত। তারপর বনের কাঠ,গোলপাতা, মধু ইত্যাদি আহরণ করত এবং আশাগাড়া ফকির বলে উলেখ করত। পরবর্তীতে বনের শ্রমিকদের কথামত দূর-দূরনত লোকেরা আশা এর কথা শুনত এবং আশা থেকে শুনি নাম হয় । এভাবে উলিখিত ফকিরের আস্তানার আশেপাশে জনবসতি গড়ে উঠে এবং তদানীনতন জরিপের সময় আশাশুনি নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন হতে অদ্যাবধি অফিস আদালতের কাগজপত্রে আশাশুনি নামের রেকর্ড দেখতে পাওয়া যায়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS